চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু: সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং

মোহাম্মদ হাসানঃ চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯ঘটিকা থেকে। মনিটরিং হচ্ছে সিসি ক্যামেরায়।
নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস। এই নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ও বুথে বসছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হবে ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে। সংবাদ মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন।
তিনি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রের ভেতর মোবাইল ফোন নিয়ে কোনও প্রার্থী কিংবা এজেন্টকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কেন্দ্রে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ভোটগ্রহণ বন্ধসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ১৫টি উপজেলার ৩০টি বুথে এক টানা ভোটগ্রহণ শুরু হলো। নির্বাচনে চেয়ারম্যানের একটি পদের বিপরীতে দুই জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নারায়ন রক্ষিত।
অপরদিকে ১৫ উপজেলায় ১৫টি সাধারণ সদস্য পদে ৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের পাঁচ পদের বিপরীতে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই হাজার ৭৩০ জন ভোটার ১৫ উপজেলায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, জেলা পরিষদ নির্বাচনে শুধু ভোটার হবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ১৫ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান। ১৫ উপজেলার সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা। সকল পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা। ২ হাজার ৭৩০ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০৯৩ জন এবং নারী ভোটার ৬৩৭ জন।
এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সদস্য পদে তিন জন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন—চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) ওয়ার্ডে প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ওয়ার্ডে কাজী আবদুল ওহাব ও চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ওয়ার্ডে আবুল কাশেম চিশতী। এই তিন ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে নির্বাচন হবে না। তবে চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ হবে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে প্রকাশ, ভোট গ্রহণের জন্য ১১০ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। ভোট গ্রহণের জন্য প্রতিটি উপজেলায় একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, দুই জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও চার জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচনে প্রতি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় সাত জনের ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যে অস্ত্রসহ তিন জন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রসহ দুই জন আনসার সদস্য ও অঙ্গীভূত আনসার দুই জন। এছাড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে গ্রহণে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইভিএম এর মাধ্যমে সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সব কেন্দ্রে থাকছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বলয়। মনিটরিং করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে।’