নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা।। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আনসার আল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে। চার আসামিকে একজন পুলিশ নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রত্যক্ষদর্শীরা এসব কথা বলেন।
চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট প্রাঙ্গণের বই বিক্রেতা মো. নিজাম বাংলানিউজকে বলেন, রোববার দুপুরে কোর্ট এলাকার জনসন রোডে তেম জ্যাম ছিল না। ওই ভবনের ৮ তলা থেকে নামিয়ে আনা হয়।
চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের মুল ফটকের সামনে আসলেই আসামিরা পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে মেরে ও আঘাত করে দুই জঙ্গি পালিয়ে যায়। বাকী দুই আসামি পালাতে ব্যর্থ হন।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা হ্যান্ডকাপ করা ছিল। তাদেরকে পড়ানো হয়নি ডান্ডা বেড়ি। ২-৩ মিনিটের মধ্যে পুলিশকে চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে পালিয়ে যায় তারা।
মুল ফটকের বিপরীত পাশের রাস্তায় মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় দুই জঙ্গি। তারা পালানোর আগে এই কোর্টের দারোয়ানের চোখে মারা হয় পিপার স্প্রে।
এর আগে, রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।