ঝালকাঠিতে ভাইস চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৭ নেতাকর্মী ও দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের
ভাইসচেয়ারম্যান মঈন তালুকদারসহ ৭ নেতাকর্মী ও এশিয়ান টিভির দুই
সাংবাদিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে মামলা হায়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠি পৌর আ’লীগ সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী
তালুকদারের পুত্র শফিকুল ইসলাম টিটু বরিশাল সাইবার ট্রাব্যুনালে মামলাটি
দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন
দেওয়ার জন্য ওসি ঝালকাঠি থানাকে নির্দেশ দেন। মামলায় মেয়র লিয়াকত আলী
তালুকদার, তাঁর ছেলে জেলা আ’লীগ কোষাধ্যক্ষ ও চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি
মনিরুল ইসলাম তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা দিপু লস্কর ও মনির হোসেন পলাশকে
সাক্ষি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝালকাঠি পৌর মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার ও
তাঁর ছেলে মনিরুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে আসামিদের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক
বিরোধ চলে আসছে। এ অবস্থায় মেয়রের ও তার পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার
জন্য এশিয়ান টেলিভিশন ‘এশিয়ান সার্চ’ নামের একটি অনুষ্ঠানে মিথ্যা,
বিভ্রান্তি ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করে। আসামিরা এই সংবাদ সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় মেয়র ও তাঁর পরিবার সামাজিক ভাবে
ক্ষতিগ্রস্ত হন।

এতে সমাজে অস্থিরতা, ঘৃণা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশংকা
সৃষ্টি হয়েছে। আসামিরা বাদী পরিবারের ক্ষতিসাধনের জন্য ‘এশিয়ান সার্চ’
নামক অনুষ্ঠানে প্রচারিত উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদের ভিডিও শহরের
প্রানকেন্দ্র বারোচালা এলাকায় জনসম্মুখে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে
প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রচার-প্রদর্শন করে। যা ঝালকাঠির বিভিন্ন স্থরের
জনগণ দেখে ও শোনে।

মামলার আসামিরা হলেন, এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টার রবিউল ইসলাম ও শামীম
হোসেন, ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান মঈন তালুকদার,
অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আল আমিন বাকলাই, ঝালকাঠি পৌর
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোয়েবুর মোর্শেদ সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক শাহীন
খান, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খসরু নোমান,
যুবলীগকর্মী কাজী মারুফ হোসেন ইরান ও বাদল হোসেন।

এ ব্যাপারে মামলায় বাদীর আইনজীবী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আদালতের আদেশ
অনুযায়ী ঝালকাঠি থানা পুলিশ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এরপর আদালত
পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।