ঝালকাঠির নলছিটিতে জমি দখলের চেষ্টা, মামলার বাদীকে হয়রানির অভিযোগ

ঝালকাঠির নলছিটিতে জমি দখলের চেষ্টা, মামলার বাদীকে হয়রানির অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ার
জিরোপয়েন্ট এলাকায় ব্যবসায়ী মো. মাসুদ সিকদারের জমি প্রভাবশালীরা দখলের
চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনি আদালতে নিষেধাজ্ঞা
চেয়ে মামলা করার পর উল্টো বিবাদী পক্ষ মিথ্যা মামালা করে তাকে হয়রানি
করছে। সুবিচার পেতে মাসুদ সিকদার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।
   দপদপিয়া এলাকার বেলায়েত সিকদারের ছেলে মো. মাসুদ সিকদার জানান, কাঞ্চন
বিবির ওয়ারিশদের কাছ থেকে তিনি তিমিরিকাঠি মৌজার ৩২ শতাংশ জমি কেনেন। ১৬
শতাংশ জমি তিনি বিক্রি করেন। ২১৩০ দাগের অপর ১৬ শতাংশ জমি নিয়ে তাঁর
সঙ্গে প্রতিবেশী এম এম মান্নান ও তাঁর লোকজনের বিরোধ দেখা দেয়।
    এ ঘটনায় তিনি ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ও ১৪৫
ধারায় মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর জমিতে জোর করে একাধিকবার স্থাপনা
নির্মাণের চেষ্টা করে। পুলিশ এসে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করে দেয়। স্থাপনা
নির্মাণের সরঞ্জামাদিও জব্দ করে একজনের জিম্মায় রাখা হয়। এর পরেও থেমে
নেই প্রভাবশালী ওই মহলটির ষড়যন্ত্র। তারা আবারো ওই জমিতে রাতের আধারে
স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করলে মাসুদ সিকদার দুইটি মামলা দায়ের করেন।
     মামলায় আসামি করা হয় এম এ মান্নান, মিজান হাওলাদার, সুমন খন্দকার,
জাফর রাড়ি,  সেলিম সিকদার ও ছালাম হাওলাদারকে। এছাড়াও অজ্ঞাত
পাঁচ-সাতজনকেও আসামি করা হয়। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ওই জমিতে সকল
প্রকার নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে এম এম মান্নানের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে
মাসুদ সিকদারকে হয়রানির জন্য তাঁকেসহ ২৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
     এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মিজান হাওলাদার বলেন, জমিটি আমি কিনেছি।
বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্থাপনা নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে না।
    নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন,
বিরোধীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি মামলা আছে। আমরা
উভয় পক্ষতে আদালতের নির্দেশ মেনে চলার জন্য বলেছি। কেউ নির্দেশ অমান্য
করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।