ঝালকাঠি গাবখান সেতুর টোল নিয়ে সড়ক বিভাগ-ইজারাদার লড়াই

আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি।।ঝালকাঠি গাবখান সেতুর টোল আদায় নিয়ে সড়ক বিভাগ ও ইজারাদার পক্ষের মধ্যে আইনী লড়াই জমে উঠেছে। গত ২৭ জুলাই ইজারাদারের পক্ষথেকে টোলের দায়িত্ব সড়ক বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়ার আবার ৩৪ঘন্টার মধ্যে পুনরায় ইজারাদারের টোল আদায় শুরু নিয়ে ব্যাপক নাটকীয়তা
সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় ঝলকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপপ্রকৌশলী মোঃ হুমায়ূন কবির গাবখান সেতুর টোল (সরকারী রাজস্ব)
জোর পূর্বক দখল করে নেয়ার দাবী করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানাগেছে।
তবে ইসলাম ব্রাদার্সের ইজারাদার মোঃ মনিরুল ইসলাম তালুকদারের বক্তব্য জানতে না পারলেও টোল আদায়ে নিয়োজিত তার ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গাবখান সেতুর
বৈধ ইজারাদার ইসলাম ব্রাদার্সের মালিক মনিরুল ইসলাম তালুকদার। সে যেহেতু টোলের দায়িত্ব হস্তান্তর করেনি, সেখানে তার বিরুদ্ধে দখলে অভিযোগ করার
কোন সুযোগ নেই। আর সওজ বিভাগ জজকোর্টের যে আদেশের দাবী করছে গত ২৮ তারিখ সে বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট ঝলকাঠি সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে
৪মাসের রুলনিশি ও ষ্টাটোস্ক আদেশ দিয়েছেন। এ অবস্থায় তিনি বৈধ ভাবে গাবখান সেতুর টোল আদায় করছেন।
সওজ বিভাগের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ২২তম কিঃমিঃ (পৌরসভার পশ্চিম সীমান্তে) অবস্থিত চীন বাংলাদেশ ৫ম মৈত্রি গাবখান সেতুর টোল ইজারা নিয়ে জেলা জজ আদালতে চলমান মামলার রায় অনুসারে বিগত ২৭ জুলাই দুপুর ১২টায় ইসলাম ব্রাদার্স লিঃ এর প্রতিনিধি আনুষ্ঠানিক ভাবে সওজ বিভাগের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
এরপর থেকে সড়ক বিভাগের কর্মচারীরা গাবখান সেতুর টোল আদায় করলেও গত ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় (৩৪ঘন্টা পরে) হঠাৎ করে সওজ কর্মচারীদের
তাড়িয়ে দিয়ে সাবেক ইজারাদার ইসলাম ব্রাদার্স লিঃ এর লোকজন গাবখান সেতুর টোল কার্যক্রম দখল করে নেয়।
বিষয়টি তাৎক্ষনিক দায়িত্বরত সড়ক বিভাগের উপপ্রকৌশলী সরকারী স্বার্থ রক্ষার্থে লিখিত ভাবে ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জকে জানান। এছাড়া গত ৩০ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় ওসির বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সওজ বরিশাল, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে অবগত ও সাংবাদিকদের
কপি সরবারহ করেন।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খলিলুর রহমান জানান, সওজ বিভাগের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ আমাদের অবহিত করা হয়েছে। তবে বিষয়টি
যেহেতু উচ্চ আদালতের সেখানে আমাদের কোন ভূমিকা নেই। এ ব্যাপারে তাদের আদালতের স্মরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।