টানা বৃষ্টিতে রংপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

তৌহিদুল ইসলাম।।স্টাফ রিপোর্টার।।গত দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে রংপুর জেলার ৮ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিতে রংপুর নগরীর ৩৩ টি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে খাল-বিল, পুকুর।
বিশেষ করে নগরীর নিউ জুম্মাপাড়া, পূর্ব জুম্মাপাড়া, আদর্শপাড়া, কামারপাড়া, কামাল কাচনা, মাহিগঞ্জ, বোতলা, নগর মীরগঞ্জ, শালবন, মিস্ত্রিপাড়া, কলাবাড়ি দর্শনা, মর্ডান মোড়, পালপাড়া, বাহারকাছনা, মুন্সিপাড়া, হনুমান তলা, মুলাটোল, মেডিক্যাল পাকার মাথা, জলকর, এলাকায় বাড়ি ঘরে পানি ওঠায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ২৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত রংপুরে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান, লঘুচাপের কারণে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সবচাইতে বেশি। রাতে প্রবল বর্ষণের সম্ভবনা রয়েছে। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রংপুরে ৩৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। তাতে রংপুর শহর পুরোটাই পানিতে তলিয়ে যায়।
জানা গেছে, নিচু এলাকাগুলো এখন পানিতে থইথই। কোনো কোনো এলাকায় হাঁটু, কোথাও কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে।
রংপুরের সিনিয়র সাংবাদিক আবেদুল হাফিজ জানান, শ্যামা সুন্দরী খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় ভারি বৃষ্টি হলে পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে। বিশেষ করে নগরীর নিচু এলাকাগুলো। শ্যামা সুন্দরীর পানি উপচে তার বাড়ি তলিয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
সমাজকর্মী এসএম পিয়াল জানান, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে গতবছরের মতো ভোগান্তিতে পড়বে মানুষ। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রংপুরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শহরের মধ্যে শ্যামা সুন্দরী খাল আর কেডি খাল আছে। এই দুটি খাল সংস্কার না করায় এই অবস্থা হচ্ছে।
নগরীর শালবন এলাকার গৃহবধূ সম্পা হোসেন জানান, রাত থেকে বৃষ্টিতে ঘরে পানি ঢুকেছে। এখন আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, গত বছরও এই রকম বৃষ্টি হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত যেসব এলাকায় পানি উঠেছে তা নিচু এলাকা। সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছি যাতে করে পানিবন্দি মানুষজনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়। আমরা এরই মধ্যে খোঁজ খবর রাখতে শুরু করেছি।