ঠাকুরগাঁওয়ে ১৪ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর : অজ্ঞাতদের নামে মামলা

জীবন হক।ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।। এক রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার বিকালে উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডির হরিবাসর মন্দির কমিটির সভাপতি যতীন্দ্রনাথ সিংহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে বালিয়াডাঙ্গি থানার ওসি খায়রুল আনাম ডন জানান।
তিনি আরও বলেন, মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর রাত পর্যন্ত সময়ে উপজেলার ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে ধনতলা ইউনিয়নে নয়টি, চাড়োল ইউনিয়নে একটি এবং পাড়িয়া ইউনিয়নে চারটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।
ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডি থেকে টাকাহারা পর্যন্ত একটি হরিবাসর মন্দির, একটি কৃষ্ণ ঠাকুর মন্দির, পাঁচটি মনসা মন্দির, একটি লক্ষ্মী মন্দির ও একটি কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।
এ ছাড়া চাড়োল ইউনিয়নে একটি কালীমন্দির, পাড়িয়া ইউনিয়নে একটি বুড়া-বুড়ি মন্দির, একটি লক্ষ্মী মন্দির, একটি আমাতি মন্দির এবং একটি মাসানমাঠ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রতিমাগুলোর হাত-পা, মাথা ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলেছে। আবার কিছু প্রতিমা ভেঙে পুকুরের পানিতে ফেলে রেখেছে।
মন্দিরের প্রতিমা ভাঙার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমার কাছে মনে হয়েছে ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলাদেশে বর্তমান শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।”