তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৬৭ অভিবাসী নিখোঁজ: নিহত ৭
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে অন্তত ৩৪ জন অভিবাসী - শিশু এবং শিশু সহ - তাদের নৌকা ডুবে তিউনিসিয়ার উপকূলে নিখোঁজ হয়েছে।
এটি দুই দিনে ডুবে যাওয়া পঞ্চম অভিবাসী নৌকা, এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ৬৭ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। খবর বিবিসির।
কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে নৌকাটি ইতালির দিকে যাচ্ছিল। তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী গত দুই দিনে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ৫৬টি নৌযানকে দেশ ত্যাগ করতে বাধা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের হুসেম জেবালি বলেছেন যে দেশ ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টায় ৩,০০০ এরও বেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
তিউনিসিয়া অভিবাসীদের ইউরোপে যাওয়ার জন্য একটি লঞ্চ প্যাডে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য দেখায় যে এই বছর ইতালিতে আসা কমপক্ষে ১২,০০০ অভিবাসী তিউনিসিয়া থেকে চলে গেছে, যা গত বছরের একই সময়ের মধ্যে ১,৩০০ ছিল।
গত মাসে, তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতি কাইস সাইদ সাব-সাহারান আফ্রিকান অভিবাসীদের দেশে বসবাসকারী অপরাধের তরঙ্গ সৃষ্টির জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং তাদের জনসংখ্যাগত হুমকি হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
তার মন্তব্য আফ্রিকান ইউনিয়ন দ্বারা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির দ্বারা "বর্ণবাদী ঘৃণামূলক বক্তব্য" হিসাবে নিন্দা করা হয়েছিল।
শুক্রবার ব্রাসেলসে এক শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে, ইতালির উগ্র ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে ইউরোপের দিকে "অভিবাসী তরঙ্গ" হতে পারে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাথে ঋণের জন্য আলোচনা স্থগিত হওয়ার পর তিউনিসিয়া বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকটের মুখোমুখি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও সতর্ক করেছেন যে তিউনিসিয়াকে জরুরিভাবে আইএমএফের সাথে একটি বেলআউট চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে।
২০২১ সালের জুলাই থেকে তিউনিসিয়াও উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে যখন মিঃ সাইদ বেশিরভাগ ক্ষমতা দখল করেছিলেন, পার্লামেন্ট বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং ডিক্রির মাধ্যমে শাসনে চলে গিয়েছিলেন।
