বাউফলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যান চলাচল,দুর্ঘটনার শঙ্কা

মোঃ ফোরকান,বাউফল(পটুয়াখালী)-পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের উত্তর সুলতানাবাদ গ্রামের আর্শেদ মেম্বার বাড়ির উত্তর পূর্ব পার্শে খালের উপর ১৫ বছর পূর্বে নির্মিত আইরোন ব্রিজটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত কাঠ বিছিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যানবাহন ও পথচারী পারাপার হচ্ছেন।
গত ৬ আগষ্ট সোমবার সকালে একটি সিএনজি গাড়ী সহ ব্রিজটির দক্ষিণ পার্শ ভেঙ্গে পরে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।এই রাস্তা দিয়ে ওই ইউনিয়নের লোক ছারাও অন্য ইউনিয়নের হাজার হাজার জনগণ যাতায়াত করে। এছারা মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল,রিক্সা, সিএনজি, ভ্যান চলাচল করে। সেঁতুর নিচে একটি খাল। দুইপাশে পাকা রাস্তা।এই রাস্তা ব্যবহার করে ওই ইউনিয়ন সহ পার্শবর্তী ইউনিয়নের লোকজন, উৎপাদিত ফসল ও শাকসবজি বাউফলের বিভিন্ন জায়গায় ও কালাইয়া সাপ্তাহিক হাটে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসে। কিন্তু সেতুটি ঙেঙ্গে পড়ায় সে সুযোগ আর হচ্ছেনা।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদুর রহমান সহ অনেকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির এই বেহাল অবস্থা । স্থানীয়রা ব্রিজের উপর কাঠ বিছিয়ে যাতায়াত করে। বাউফল গোলাবাড়ি হয়ে কালিশুরি রাস্তার নির্মাণ কাজ চলমান হওয়ায় ওই রাস্তা ব্যবহার না করে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন সহ হাজার হাজার লোকজন চলাচল করে। এখন ব্রিজটি ভেঙ্গে পরায় জনগণের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তারা দ্রুত এই ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ।
এব্যাপারে নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইব্রাহিম ফারুক বলেন, অধিক বর্ষাজনিত কারণে ব্রিজের নীচের মাটি সরে গেছে,যার ফলে পুরানো ব্রিজটি ডেবে গিয়ে ভেঙ্গে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের অর্থদিয়ে অচিরেই ব্রিজটি মেরামত করে জনগণের চলাচলের উপযোগী করে দিবেন।এবং ব্রিজটি পূর্ণ নিমার্ণের জন্য আগামী উপজেলা পরিষদ সভায় আবেদন করবেন।
এবিষয় উপজেলা প্রকৌশলী সাময়িক দাপ্তরিক কাজ থেকে বিরত থাকায় সহকারী প্রকৌশলী আব্বাস উদ্দিন জানান, সেতুটির বিষয় আমার জানা নেই ,তবে সেতু নিমার্ণের জন্য আবেদন করলে নিয়ম অনুযায়ী স্থান পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবেন ।