বন্ধ হচ্ছে করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম

আগামী ৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ ক্যাম্পেইন করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনিবার শিশুদের টিকাদান নিয়ে অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপে এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, যারা এখনো প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তারা ৩ অক্টোবরের পর আর ভ্যাকসিন (টিকা) পাবেন না। অনেক ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে, অনেক ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ করার আগে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত একটি ক্যাম্পেইন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ গণহারে সবাইকে দেওয়া হবে। এরপর আর দেওয়া যাবে না। এরপর প্রথম ডোজ টিকা আর পাওয়াই যাবে না। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়াও সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, এখনো ৩৩ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নেয়নি। ৯৪ লাখ দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি। আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। এছাড়াও ১০ লাখ শিশুকে টিকাদান হয়ে গেছে।
তবে, এখনো সোয়া ২ কোটি শিশুকে টিকা দিতে হবে। তার মানে ৪ কোটির বেশি টিকা দেওয়া এখনো প্রয়োজন। আমরা মাত্র শুরু করেছি। শিশুদের টিকা কার্যক্রম আরও অনেক বাকি আছে বলেও জানান জাহিদ মালেক।
এদিকে, লাইসেন্স বিহীন অবৈধ স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে আর কোনো অবস্থাতেই সুযোগ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বিশ্বের অনেক দেশের আগেই বাংলাদেশ শুরু করতে পেরেছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা কার্যক্রম। সারা দেশে জেলা-উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু হবে ১১ অক্টোবর শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি চলবে।