বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে দুদকের অভিযান

বরিশাল প্রতিনিধি।। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট গত ৬ সেপ্টেম্বর তারিখে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে।
বরিশালের জনৈক ডাক্তার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকা এবং রোগীদের চিকিৎসা সেবা না দিয়ে ব্যক্তিগত ক্লিনিকে চেম্বার করা বিষয়ে দুদক হটলাইন-১০৬ আগত একটি অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বরিশালের সহকারী পরিচালক জনাব রাজ কুমার সাহা'র নেতৃত্বে একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে টিম সকাল ০৯:০০ টার সময় অভিযোগে উল্লিখিত মেডিসিন ও নিউরোলজি বিভাগের এর সংশ্লিষ্ঠ ডাক্তারকে তার কক্ষ, ক্লাশরুম বা ওয়ার্ডে কোথাও পায় নি। সে সময় তার নিজ কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।
এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য সময় উক্ত হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান শাহীন এর দপ্তরে টিম উপস্থিত হয় এবং তাঁকেও অনুপস্থিত পাওয়া যায়। দুদক টিম বায়োমেট্রিক হাজিরা বুথ পর্যাবেক্ষণ করে দেখতে পায় অধিকাংশ (টিমের সন্মুখে নূন্যতম ১৫ জন ) ডাক্তারগণ প্রায় দেড়ঘন্টা বিলম্বে বায়োমেট্রিক হাজিরা প্রদান করছেন। এনফোর্সমেন্ট টিম অধ্যক্ষ মহোদয়কে মোবাইল ফোনে দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট অভিযান বিষয়ে অবহিত করা হলে পরবর্তীতে তার দ্প্তরে উপস্থিত হন এবং ডাক্তারদের উপস্থিতি সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক হাজিরার তথ্য প্রদানে গড়িমসি করেন এবং অস্বীকৃতি জানান। এদিকে অভিযোগে উল্লিখিত ডাক্তারকে ১০ ঘটিকায় ফোন করেও তাকে পাওয়া যায় নি এবং তার অনুপস্থিতির বিষয়ে অধ্যক্ষ মহোদয় কোন জবাব দিতে পারেন নি । অভিযানকালে উক্ত হাসপাতালের মেডিসিন, আর্থোপেডিক্স বিভাগে গিয়ে দু-একজন ইন্টার্নি ডাক্তার ব্যতিত অন্য কোন ডাক্তারের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
দুদকের অভিযান চলাকালে সেবা প্রত্যাশী রোগী ও ওয়ার্ডে চিকিৎসা গ্রহণরত রোগী ও তার স্বজনরা হাসপাতালে ডাক্তার না থাকা ও দূর্বল ব্যবস্থাপনার অভিযোগ টিম-কে জানায় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের নিকট এ বিষয়ে প্রতিকার চান।
দুদক জানায়, অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য ও অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে টিম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশন বরাবরে দাখিল করবে।