ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত বর্জন প্রত্যাহার, প্রাণ ফিরেছে আদালত অঙ্গনে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত বর্জন প্রত্যাহার, প্রাণ ফিরেছে আদালত অঙ্গনে
ছবি: সংগৃহীত

মোজাম্মেল চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
প্রান ফিরেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত অঙ্গনে। আইনজীবীদের টানা আদালত বর্জন কর্মসূচী শেষে আবারো প্রানচাঞ্চল্যতা ফিরেছে প্রতিটি আদালতের এজলাসে। আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের সাথে বৈঠকের পর আদালত বর্জন কর্মসূচী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি। রবিবার সকাল থেকে জেলা জজের আদালত ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ আদালত ব্যতিত সকল আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন আইনজীবীরা। এতে করে বিচারপ্রার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা জানান, এতদিন কোর্ট বন্ধ থাকার কারণে তাদের অর্থ ও সময় উভয় নষ্ট হয়েছে। সেসাথে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তবে আবারো আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তাদের আর হতাশ হয়ে ফিরতে হবে না।  


এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডঃ মোঃ তানভীর ভুইয়া জানান, আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ায় রবিবার থেকে আইনজীবীরা আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। তবে জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের বদলির আগ পর্যন্ত তাদের আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে। এছাড়া নাজির মোমিনুল ইসলামকে দ্রæত সময়ের মধ্যে বদলি করা হবে। যদি আগামী ২৪ জানুয়ারীর মধ্যে ওই দুই বিচারকসহ নাজিরকে অপসারণ করা না হয়। তাহলে সাধারণ সভা থেকে পরবর্তী কর্মসূচী নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, আইনজীবীরা আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। এতে করে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। আদালতের এজলাসগুলোতে বিচারবৃন্দ বিচার কাজ পরিচালনা করছেন।  

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারিরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারী থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মস‚চি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। এছাড়াও বিচারকের সাথে অশোভন আচরণ ও অশালীন সেøাগান দেয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করেছে উচ্চ আদালত।