বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস উপলক্ষে জবিতে আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ

তানভীর অহমেদ।।জবি প্রতিনিধি।। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও ন্যাচার স্টাডি এন্ড কনজারভেশন ক্লাবের আয়োজনে জবিতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। পরিযায়ী পাখি সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় শনিবার বিশ্ব পরিযায়ী পাখি পালিত হয়। ২১ মে (রবিবার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে পরিযায়ী পাখিদের আবাস স্থল নিরাপদ রাখা বিচরণস্থল সংরক্ষণ ও পাখির নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত পালিত হয়।
২০০৬ সাল থেকে মে মাসের দ্বিতীয় শনিবার বিশ্ব পরিযায়ী পাখি পালিত হয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ন্যাচার স্টাডি এন্ড কনজারভেশন ক্লাব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে জবিতে আয়োজন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এবং ক্লাবের উপদেষ্টা অনির্বাণ সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী ও অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ এন্ড আর্থ সাইন্সের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সভাপতি সজীব বিশ্বাস । এরপর শুরু হয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হকের পরিচালনায় প্রতিযোগিতায় চারটি গ্রুপ অংশগ্রহণ করেছে। পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বার্ড ক্লাবের সভাপতি ইনাম আল হক। তিনি উল্লেখ করেন পরিযায়ী পাখি দিবস পূর্ণরূপ জাগ্রত হয়েছে নেচার স্টাডি এন্ড কনজারভেশন ক্লাবের মাধ্যমে। একজন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে আমাদের কীট-পতঙ্গ, পাখিদের কাছে যেতে হবে প্রতিনিয়ত।
লাইফ এন্ড আর্থ সাইন্সের ডিন অধ্যাপক ড.মনিরুজ্জামান খন্দকার বলেন, পরিযায়ী পাখি আমাদের দেশে আসে প্রজননের জন্য। আর আমরা অসচেতনতা বশত তাদের ধরে খেয়ে থাকি। এভাবে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে আমাদের পরিযায়ী পাখি। এ ব্যাপারে আমাদের প্রাণিবিদ্যা বিভাগকে আরো সচেতন ও সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন- প্রাণিবিদ্যা বিভাগের Nature Study and Conservation Club যে বিশ্বপরিযায়ী পাখি দিবসের মত কার্যক্রম করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ ধরনের সচেতনতামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে পরিযায়ী পাখি ধরা,বেচা', খাওয়া ধীরে ধীরে বন্ধ হবে।
পরিশেষে তিনি পাখি সম্পর্কিত চমৎকার একটি আবৃত্তির মাধ্যমে তার বক্তব্য শেষ করেন। পরিশেষে পাখিদের ধরা খাওয়া প্রতিরোধ করতে "জাদুর চড়ের পরিযায়ী পাখিরা" শিরোনামে নাটক এবং সবশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।