বায়রার সভায় বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে শ্রমিক রপ্তানির সুযোগের দাবি

বায়রার সভায় বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে শ্রমিক রপ্তানির সুযোগের দাবি
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা।। অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) মতবিনিময় সভা। প্রায় চার ঘণ্টার সভায় মালয়েশিয়ার শ্রমিক পাঠাতে সব বৈধ এজেন্সির সমান সুযোগের দাবিতে যতটা না আলোচনা হয়, তারচেয়ে বেশি সময় পার হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও রেষারেষিতে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আয়োজিত এই সভা শুরুর হতে হতেই আরও উত্তপ্ত হয় পরিবেশ। এক পক্ষ বক্তব্য শুরু করলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অন্য পক্ষ।

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি প্রেরণের ক্ষেত্রে চলমান সংকোট নিরসন, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় হ্রাস এবং সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য সমান সুযোগের দাবিতে বৃহস্পতিবার আয়োজিত মতবিনিময় সভার শুরুর আগেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বায়রার সদস্যরা।

মতবিনিময় সভার পুরো সময়টাতেই দফায় দফায় চলে, ধাক্কাধাক্কি, পাড়াপাড়ি আর মারামারি। শুধু তাই নয়ৱ, সাংবাদিকদের সাথে ‘তুই-তোকারি’ এবং ডায়াস থেকে টিভি চ্যানেলের মাইক্রোফোন ফেলে দেয় বায়রা সদস্যরা। 

বায়রা নেতারা বলেন, ১৭০০ বৈধ এজেন্সির মধ্যে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে পারে মাত্র ১০০ এজেন্সি। কিন্তু তাদের দাবি, সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিই যেন শ্রমিক রপ্তানির সুযোগ পায়। সেই সাথে ওয়ান স্টপ সুবিধাসহ ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।

অভিজ্ঞতা, কর্মনিষ্ঠা আর বিশ্বস্ততার সাথে বিশ্বের ১৭৪টি দেশে এখন কাজ করছেন দেড় কোটি বাংলাদেশি শ্রমিক। গেলো মাসেও যারা দেশে পাঠিয়েছেন ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। 

তবে, বায়রা'র সদস্যদের নিজেদের মধ্যে সংঘাতময় সম্পর্ক না থাকলে শ্রমিক রপ্তানি এবং প্রবাসী আয়, দুইই বাড়তো বলে মত দিয়েছেন জনশক্তি বিশ্লেষকরা। 

এসময় অন্যান্য সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানালে বায়রার সভাপতি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান এবং দোষীকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেবেন বলেও জানান তিনি।