মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট ও সিম নিবন্ধকের প্রতারণা: গ্রেফতার ৫

মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট ও সিম নিবন্ধকের প্রতারণা: গ্রেফতার ৫
ছবিঃ সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা : বাংলালিংকের সিম নিবন্ধক খোরশেদ আলম। তিনি ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে ঘুরে কৌশলে ফিঙ্গার প্রিন্ট (আঙ্গুলের ছাপ) ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। পরে এসব সিমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে এজেন্ট ও কর্মকর্তা সেজে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন টাকা।
বিকাশে এ ধরনের প্রতারণার অভিযোগে খোরশেদ আলমসহ (২৮) পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন মো. ফয়সাল হাসান ফাহিম (২৪), আনোয়ার পারভেজ ভূঁইয়া (২৫), মো. মমিনুল ইসলাম (২৯) ও মো. নজরুল ইসলাম (৪০)। তারা বিকাশের এজেন্ট ও দোকানদার। তাদের কাছ থেকে ৫৪টি সিম উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের মূলহোতা খোরশেদ আলম। তিনি বাংলালিংকের মার্কেট অপারেশন ডিস্ট্রিবিউটরের একজন এজেন্ট। তিনি মূলত বাংলালিংকের সিম নিবন্ধক। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সিম বিক্রি করেন। এজেন্ট হওয়ার সুবাদে খোরশেদ বিভিন্ন বস্তি এলাকায় গিয়ে কৌশলে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন।
মিরপুর মডেল থানার ওসি বলেন, সংগৃহীত এসব ফিঙ্গার প্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিম ইস্যু করেন খোরশেদ আলম। এসব সিম আবার বিক্রি করেন বিকাশ এজেন্ট আনোয়ার ও ফয়সালের কাছে। সাধারণত একটি সিমের বাজারমূল্য ৬০ টাকা হলেও এসব সিম খোরশেদ বিক্রি করতেন ২০০ টাকা করে।
২০০ টাকায় কেনা এসব সিম আবার ৩০০ টাকা করে আনোয়ার ও ফয়সালের কাছ থেকে কিনে নিতেন বিকাশ দোকানী মোমিনুল। পরে এসব সিম থেকেই বিকাশ এজেন্ট ও কর্মকর্তা সেজে কৌশলে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় টাকা।
এমনই টাকা খোয়া যাওয়া মাহতাফ হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী ২ ফেব্রুয়ারি তার বিকাশ নম্বরে ১২ হাজার টাকা ক্যাশইন করেন। বাসায় ফেরার পর তাকে ফোন করে জানানো হয় ক্যাশইন করার সময় ভুল নম্বরে টাকা চলে যাওয়ায় তার নম্বর লক করে দেওয়া হয়েছে। সেই লক খোলার জন্য ওটিপি তার নম্বরে পাঠানো হয়েছে।
মাহতাফ সরল বিশ্বাসে সেই ওটিপি নম্বর বলার পর দেখেন তার বিকাশ থেকে ৪৭ হাজার ৯৪০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর ওই নম্বরে ফোন করলে তা বন্ধ পান ভুক্তভোগী মাহতাফ।
পরে তিনি মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করলে রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় প্রথমে খোরশেদ আলমকে ডেমরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান ওসি মোহাম্মদ মোহসীন।