রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হলেন মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু

তৌহিদুল ইসলাম, নিউজ করেসপনডেন্ট।। রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে ১১৭ ভোটে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন দল থেকে বহিষ্কৃত প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু।
রংপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনে মোট এক হাজার ৯৫ ভোটের মধ্যে এক হাজার ৮৪ ভোট গৃহীত হয়েছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডারবীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন জানান, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়েছে। ভোটার ও প্রার্থীরাও ভোটের পরিবেশে নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে (তারাগঞ্জ) একটি ভোটও পাননি সাধারণ সদস্য প্রার্থী আলমগীর হোসেন লেবু। ভোটগ্রহণ শেষে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সামসুল আলম এ তথ্য ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ওই ওয়ার্ডে মোট তিনজন সাধারণ সদস্য প্রার্থীর মধ্যে আতিয়ার রহমান টিউবওয়েল প্রতীকে ৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল আমিন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ ভোট। আর আলমগীর হোসেন লেবু হাতি প্রতীকে পেয়েছেন শূন্য ভোট। এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিলেন ৬৮ জন। এরমধ্যে একটি ভোট বাতিল হয়েছে।
সোমবার রংপুর বিভাগের আট জেলার ৫৮ কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা, আনসার ও পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা সাত হাজার ৫৪৬ জন। বিভাগের আট চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, ৫৮টি সদস্য পদের বিপরীতে ১৯৫ জন ও ২২টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের বিপরীতে ১৮০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরমধ্যে কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং পঞ্চগড় লালমনিরহাট ও গাইবান্দায় একজন করে ও দিনাজপুরে দু’জন সাধারণ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।