রোহিঙ্গা প্রত্যাবাশন ইস্যু: মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল টেকনাফ থাকবেন আরও ৫ দিন

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,কক্সবাজার।। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাশনের প্রস্তুতি দেখতে আসা মিয়ানমারের দুই মন্ত্রীসহ ১৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের টেকনাফে অবস্থান করছেন।
বুধবার সকালে টেকনাফ স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে মালঞ্চ সম্মেলন কক্ষে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সাথে প্রায় ৩০ মিনিট বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে বিকাল ৫ টা পর্যন্তও টেকনাফ স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে মালঞ্চ সম্মেলন কক্ষে রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই বাছাই কার্যক্রম চলে। তারা এ পর্যন্ত ৭০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
তথ্য যাচাই শেষে প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করার কথা থাকলেও বুধবার আর পরিদর্শন করেনি।
মিয়ানমার থেকে আসা প্রতিনিধি দল টেকনাফে আরও ৫ দিন অবস্থান করে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে ৭১১ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করবেন।
মিয়ানমারের রাখাইন ষ্টেটের মংডু টাউনশীপ থেকে সকাল ১০টায় কিছু পরে নাফ নদী পার হয়ে স্পীড বোটে করে মিয়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল টেকনাফ জেটি ঘাটে এসে পৌঁছেন। জেটি ঘাট থেকে ৫ সদস্য মিয়ানমারে ফিরে যান। ১৭ জন সদস্যকে
শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা, স্হানীয় প্রশাসন, বিজিবি সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান।
শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার
সামছুদ্দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাশন কার্যক্রমের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে মিয়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগের ১৭ জন কর্মকর্তারা রাখাইন ষ্টেটের মংডু থেকে টেকনাফে এসেছেন। প্রত্যাবাশন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকও করেন। শরনার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া স্বদেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক কয়েক শত রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সাথেও মতবিনিময় করেন তারা। মিয়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই বাছাই চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামছুদ্দৌজা নয়ন বলেন,প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ ৮ লাখ ৬২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছিল।। ওই তালিকা থেকে প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ১৪০ জনকে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ৭১১ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের সম্মতি মিললেও বাকি ৪২৯ জনের ব্যাপারে মিয়ানমারের আপত্তি ছিল।
মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি ওই ৪২৯ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাইয়ের জন্য টেকনাফে এসেছেন। টেকনাফ স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে মালঞ্চ সম্মেলনকক্ষে রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। বুধবার প্রথম দিনে ৭০ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করা হয়েছে।