লক্ষ্মীপুরে মা'কে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড

এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টার।। মা শেফালী বেগম কে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে কে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
১০টাকা আবদার ছিল নেশাগ্রস্থ ছেলে জাফরের। মা টাকা না দেওয়ার রাগান্বিত হয়ে জাফর তার মাকে দা-দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার দায়ে ছেলে জাফরকে এ রায় দিয়েছেন আদালত। একইসময় তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত মো. জাফর (২৭), জেলার রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালীয়া গ্রামের সর্দার বাড়ীর হোসেন আলীর ছেলে।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি জাফর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে মাদক সেবন শুরু করে। এ জন্য জাফরকে অনেক টাকা ঋণ করতে হয়। ওই ঋণ পরিশোধ করার জন্য বিভিন্ন সময়ে জাফর তার মায়ের কাছে টাকা দাবি করে আসছিল। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০১২০ সালের ২৮ আগস্ট সকালে তার ৬০ বছর বয়সী মা শেফালী বেগমের কাছে আবার টাকা দাবি করলে মায়ের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাফর তার মাকে দারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় ঘরে অন্য কেউ ছিল না। এ ঘটনার পর রাতেই ছেলেকে একমাত্র আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা করেন বাবা হোসেন আলী। ঘটনার পরদিন আসামী জাফরকে একই এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন।
জাফরের আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, আসামী জাফরের পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় আদালত কর্তৃক আমাকে জাফরের আইনজীবী নিয়োগ করা করে । জাফর বেকার হয়ে মাদকসেবনে জড়িয়ে পড়ে। সে পুরোপুরি মাদকাসক্ত এবং মানসিকভাবে বিকারগস্ত হয়ে যায়। এজন্য সে তার মাকে হত্যা করেছে। সুস্থ মস্তিষ্কে সে হত্যাকান্ডটি ঘটায়নি। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো উচ্চ আদালতে।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী (পিপি) জসিম উদ্দিন শীর্ষ সংবাদকে জানান, ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট আসামী জাফর শুধুমাত্র নেশার ১০টাকার জন্য তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করছে। এ মামলায় জাফর একক আসামী। রায়ের সময় জাফর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।