সিকৃবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬

সিলেট ব্যুরো।। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
৬ জানুয়ারী শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চেষ্ট করছে।
জানাযায়, সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমাদুল হোসাইন বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদীয় ছাত্রলীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হবে।
কিন্তু দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম এ কর্মীসভার প্রাক্কালে এতে বাঁধা দেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের বিদ্রোহী গ্রুপ।
সিকৃবি শাখা সহ সভাপতি শরীফ হোসাইন, সাব্বির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসাইন, আকাশ ভূইয়া, ও প্রান্ত ইসলাম এই বিদ্রোহী গ্রুপের নেতৃত্ব এই বাঁধা দেয়া হয়।
তাদের বাঁধা দেয়ার প্রেক্ষিতে দুই পক্ষে মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। ক্যাম্পাসের পাঁচটি আবাসিক হলে থেকে দুই পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন৷ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন অহত হয়েছেন।
এসময় সহ সভাপতি সাব্বির মোল্লা ও তার অনুসারী জুনায়েদ আহমেদ শাহ পরান হলে ঢুকে কয়েকটি কক্ষ ভাঙ্গচুর করেন। কক্ষগুলোতে সভাপতি আশিকুর রহমানের অনুসারীরা থাকতেন বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ ক্যাম্পাসের বাহিরে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান অভিযোগ করেন, কোন ধরণের উস্কানি ছাড়াই শরীফ হোসাইন, সাব্বীর মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমানের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থবির করে রাখতে এই হামলার ঘটনা বলে দাবি আশিকের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মনিরুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদীয় ছাত্রলীগের কর্মীসভা আয়োজনের জন্য অনুমতি চেয়েছিল। তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
শাহপরান থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহ জাহান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান করছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।