সাঘাটার জুমাড়বাড়িতে পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে  নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ

সাঘাটার জুমাড়বাড়িতে পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে  নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

স্টাফ রিপোর্ট।।গাইবান্ধার সাঘাটার জুমারবাড়ি বগারভিটা ও কামারপাড়া ৩/ক এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে নিয়োগে বিধি বহির্ভূত নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

স্ব-স্ব গ্রামের আবেদনকৃত নিয়োগ অধিকার বঞ্চিত প্রার্থীগণ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সুবিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, গাইবান্ধার সাঘাটার জুমারবাড়ি বগারভিটা ও কামারপাড়া ৩/ক এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে নিয়োগের জন্য গত ২২ আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে মোতাবেক কামারপাড়া ও বগার ভিটার দিপা, মুসলিমা  জান্নাত লুপা ও মণিকা আক্তারসহ অনেকেই আবেদন করে। 
আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৮ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে লিখিত পরীক্ষা ও  তার ফলাফল ৩১ অক্টোবর ২০২২ প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের গত ২২ নভেম্বর ২০২২ইং তারিখে মৌখিক পরীক্ষা ও তার ফলাফল ৩০ নভেম্বর ২০২২ প্রকাশিত হয়।
ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, জুমারবাড়ির দহিচড়া গ্রামের বাসিন্ধা রাফিউজ হাবিবের স্ত্রী স্বর্ণা হাবিব যাহার রোল নং ১২০৮২৬৪৮ কে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ।যাহার বাড়ি বগারভিটা ও কামারপাড়া ৩/ক এলাকায় অর্ন্তভুক্ত নহে।
বিষয়টি জানাজানি হলে, তড়িঘড়ি করে রাফিউজ হাবিবের স্ত্রী স্বর্ণা হাবিব বগারভিটার এলাকায় গত ১ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ধান ক্ষেতের মাঝে একটি দোচালা টিনের ঘর তুলে ফেলে তার নিয়োগকে বৈধ করার পায়তারা করছে।
নিয়োগ অধিকার বঞ্চিত দিপা জানায়, স্বর্ণার স্বামীর বাড়ি দহিচড়া গ্রামে।তাহার স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র নং ৩২১৩৪৩০০০০৩৪। অথচ স্বর্ণা তার আবেদনে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে নিয়োগ নিয়েছে। দিপা এ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত দাবী করে। 
অভিযোগকারী মণিকা জানায়, বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক স্বর্ণার নিয়োগ কোনভাবেই বৈধ হতে পারে না। সুষ্ঠ নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই আসল রহস্য বেরিয়ে যাবে।
সাবেক ইউপি সদস্য জুয়েল জানান, কামারপাড়া ও বগারভিটা গ্রামে বসবাসরত প্রার্থী থাকতে কিভাবে দহিচড়া গ্রামের বাসিন্ধাকে নিয়োগ দেয়া হলো তা দেখে এলাকার সাধারন মানুষ হতবাক। তবে তিনি এর সুষ্ট সমাধান দাবি করেন।