সদ্যপ্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইসলামইল হোসেন

মো. নজরুল ইসলাম।।মানিকগঞ্জ।।মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জাতির ক্রান্তিকালে দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যারা স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ইসমাইল হোসেন। গত ৯ জুলাই ২০২২ আনুমানিক সকাল ৯.০০ ঘটিকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত পক্ষাঘাত রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই কন্যা রেখে গেছেন তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
মরহুমের শেষ বিদায় অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা পুলিশ এবং জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব আদনান চৌধুীরর নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। তারপর ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আলমগীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মিয়াজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবুল ফয়েজ ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আলী মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহাম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সাইফুল ইসলাম এস এম জসিজুল হক মোল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ: কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিক আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: রশিদ, মো: গিয়াস উদ্দিন।
আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড ডেমরা সভাপতি এম এস আলম, নাজমুল হোসেন, আলমগীর, পাটকল সুতাকল সংগ্রাম পরিষদের গোফরান, গোলাম মওলা ও শাহিন। কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শংকর আচার্য, হোসেন বেগম, টিউসি ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, টি এইচ মোস্তফা দিপু, গোলাম রাব্বী খান, ফিরোজ আলম মামুন ও মাহাবুবুর রহমান শিপন প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন মো: ইসমাইল হোসেন দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ সালে ভারতের তেজপুরে প্রথম ব্যাচে গেরিলা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং জীবন বাজি রেখে সততা, নিষ্ঠার সাথে লড়াই করেন। মৃত্যুর আগ মহুর্ত পর্যন্ত তার জীবন আদর্শ অক্ষুন্ন রেখেছিলেন।
এলাকার উদ্দেশ্যে শহীদুল্লা চৌধুরী বলেন তারপরও যদি মো: ইসমাইল আপনাদের মনে কোন ব্যাথা দিয়ে থাকেন আমি তার সংগঠন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে আপনাদেরকে অনুরোধ করব, আপনারা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। মো: ইসমাইল হোসেনের বিদায় বেলায় যত সংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত হয়েছেন তাতে বলার অবকাশ থাকে না উনি কেমন মানুষ ছিলেন। অনেক দিন পর দেখলাম মানুষের মৃত্যুর পর এত সংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমবেত হন।