সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘর ছাড়েন তাজকিয়া

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘর ছাড়েন তাজকিয়া
ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা।। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘর ছেড়েছিলেন তাজকিয়া তাবাসসুম নামে এক শিক্ষার্থী। দাখিল পরীক্ষা শেষ করে মায়ের ফোন নিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন। সেখানেই পরিচয় হয় এক নারীর সঙ্গে। সেই নারীই মূলত তাজকিয়াকে কথিত হিজরতে ঘর ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করে। তাজকিয়ার সঙ্গে আরও আট তরুণ-তরুণী কথিত হিজরতে বান্দরবানের উদ্দেশ্য রওনা হন। পরে ২২ ডিসেম্বর র‍্যাব তাদেরকে উদ্ধার করে।
সোমবার দুপুরে র‍্যাব সদরদপ্তরে হিজরতে বের হওয়া নয়জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তাজকিয়া তাবাসসুম তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।
তাজকিয়া বলেন, আমার নিজের মোবাইল নেই। মায়ের মোবাইল দিয়ে নতুন ফেসবুক আইডি খুলেছিলাম। এরপর ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপের ইসলামি পোস্টে লাইক-কমেন্টস করতাম। এসব গ্রুপে ইসলামের খন্ডিত বিভিন্ন আলোচনা পোস্ট করা হত।  সেখান থেকে আরেক আপুর (তরুণীর) সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত হই। গ্রুপে ইসলামের বিভিন্ন আলোচনা করা হতো। সেখান থেকেই হিজরত সম্পর্কে জানতে পারি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার তিন দিন আগে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। গত ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আমরা পাঁচজন মেয়ে মহাখালীতে একত্রিত হই। সেখান থেকে আমরা বাসে করে চট্টগ্রামে যাই। চট্টগ্রামে যাওয়ার পরে আমাদের সঙ্গে আরও চারজন ছেলে যুক্ত হয়৷ সবাই মিলে বান্দরবান যাই তবে সেখানে ভালো স্থান না পেয়ে আমরা আবার চট্টগ্রামে ফিরে আসি। সেখান থেকে ঢাকায় আসার জন্য বাসের টিকিট কেটেছিলাম। কিন্তু এই সময়ে আমাদের সঙ্গে থাকা এক বোন (তরুণী) অসুস্থ হয়ে যায়৷ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।
তাজকিয়া আরও জানান, হাসপাতাল থেকে যখন ছাড়া পাই তখন বাস ছেড়ে দেয়। আমরা এসে বাস পাইনি। পরে চট্টগ্রামের এক হোটেলে উঠি। সেখান থেকেই র‍্যাব আমাদের উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে র‍্যাব আমাদের কাছে বাড়ি ছাড়ার কারণ জানতে চায়। তারা আমাদের বাড়ি ছাড়ার পেছনে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও ভুল ধারণা সম্পর্কে বোঝালে আমরা সঠিক পথে আসতে উদ্বুদ্ধ হই।