সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি লিজ না নিয়েও কাউন্সিলর বেলালের নামে মিথ্যে প্রচারের প্রতিবাদ

জাহিদুল হাসান জাহিদ,স্টাফ রিপোর্টার।। নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি লিজ দেওয়ার নামে ভূয়া কাগজ তৈরী করে মিথ্যে প্রচারনা চালিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কারসাজিতে জড়িত সংঘবন্ধ চক্রের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনসচেতনা সৃষ্টি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ।
সোমবার(১৫ নভেম্বর) সকাল ১১’৩০ মিনিটে রংপুর সড়কস্থ শেখ সাদ কমপ্লেক্সের সামনে এই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে জানান,৮ নং কাচারী পার্বতীপুর ফিল্ড কানুনগো অফিসের জনৈক কর্মকর্তা সাথে যোগসাজেশে সৈয়দপুরের কতিপয় সুযোগ সন্ধানী স্বার্থম্বেষী ব্যক্তির সম্বনয়ে গড়ে উঠা একটি চক্র সম্প্রতি নতুন কৌশলে মাঠে নেমেছে। এই কৌশলের অংশ হিসাবে সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালিপুর মৌজার জে,এল নং-৩৮ বিগত ১২/১০/২০২ইং তারিখে রেল একটি অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাভবে বিপুল পরিমান জমি দখল নিয়ে বিভিন্ন জনের নামে লিজ দেওয়া হয়েছে বলে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে।যাহা সম্পূর্ন বেআইনি ও প্রতারণার সামিল।
আশ্চর্যের বিষয় হলো এই লিজ কে, কখন এই বরাদ্দ দিলেন বা কিভাবে তারা লিজ পেলেন ? সে ব্যাপারে কেউ কিছুই জানে না। এমন কি এ সংক্রান্ত কোনো কাগজ দলিল রশিদ বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন চিঠিও দেওয়া হয় নাই।আর লিজ দেওয়ার নামে কয়েক জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে একটি ম্যাপ দেখানো হয়েছে তাতে কোন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোন নাম স্বাক্ষর,সিল নাই। এটা একটি ভূয়া কাগজ। এই ম্যাপে আমার নামও উল্লেখ করে প্রচার করা হচ্ছে যে,৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ দখলকৃত বিত্বের জমি লিজ নিয়েছে। ডাহা মিথ্যা বলে অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে আমাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
প্রকৃত পক্ষে উক্ত বিত্বের মূল মালিক আছেন। তাদের নামে সি,এস.এস,এ,বি,এস রেকর্ড আছে এবং খাজনা পরিশোধ করে ভোগদখলে আছে। বৈধ মালিকানার জমির জন্য লিজ পাওয়ার আবেদন কেউ করতে পারে না এবং আমিও লিজের আবেদন করিনি। আমার নামে লিজের কথা বলে মিথ্যাচারের মাধ্যমে আমাকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়স চালানো হচ্ছে। তাছাড়া জমির রেকর্ডধারী বৈধ মালিক ও ভোগদখলে যাহারা আছেন তাদের সাথে রেলওয়ের অপ্রত্যাশিত বিরোধ দেখা দিয়েছে।আর এই সুযোগে চক্রটি লিজ দেওয়ার নামে তদবির বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। তারা অবৈধভাবে লিজ দেওয়ার জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের সাথে ডিল করে অনেক অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। ঐ চক্রের হোতারা নিজেদের নামে লিজ পাওয়ার কথা বলে জমিগুলো বিক্রয় করে বিশাল অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অপতৎপরতায় জড়িত আছেন। তাছাড়া জমিগুলো রেলওয়ের ভোগদখলে নাই। তারপরও লিজের জন্য বায়নাও যা খুব উদ্বেগজনক।বৈধ মালিকানাধীন জমি নিয়ে এমন অভিনব বাণিজ্য কারসাজি কোনভাবে হতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ কর্মকাণ্ড।
রেলওয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায়,কতিপয় ভূমিদস্যু একত্রিত হয়ে এমন জঘন্য কাজে নেমেছে। এই প্রতারণামূলক অপরাধ। এই বেআইনি কাজ বন্ধে প্রশাসনিক ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তকামনা করেন। তা হলে অসংখ্যা মানুষ ঔ চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এই ব্যাপারে জনগনকে সচেতন থাকতে এবং সরকারের উর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনায় তাদের দৃষ্টিগোচর করতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত সঠিক তথ্য সাংবাদিকদের তুলে ধরার আহবান জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,জমির রেকর্ডকৃত মালিক মো.আব্দুল লতিফ মাষ্টার,মো.জিয়ারুল হক,মো.আতিয়ার রহমান,মোছা.শিউলি বেগম,মো.আজিজার রহমান, মো.আজিজুল হক,মো.জাহিদুল,সাইফুজ্জামান,মাসুদুর রহমান লেলিন,নাজমুর হুদা,আবু বক্কর সিদ্দিক, রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।