হেলপারের ধাক্কায় অন্য বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি।। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে আবু সায়েম মুরাদ নামের এক যুবক মারা গেছেন। শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বাসচালক ও হেলপারকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এবং বাসটিতে আগুন দিয়েছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুরাদ যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী রুটের ৮ নম্বর বাসের যাত্রী ছিলেন। ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে বাসের হেলপার ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পরে অন্য বাসের চাপায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহত মুরাদের ভাই আবু সাদাত সায়েদ অভিযোগ করেন, মুরাদ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় হেলপার এক যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেন। মুরাদ এরে প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সরণিতে নামার সময় মুরাদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন হেলপার। এতে আরেকটি বাসের চাপায় তিনি পিষ্ট হন।
এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ওই বাসের চালক শাহ আলম (৪০) ও হেলপার মোহনকে (২২) পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এছাড়া ৮ নম্বর বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজারুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা সেই বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে যাত্রীবাহী বাসটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে ওসি বলেন, নিহত যুবকের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মুরাদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০০৪-২০০৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে একটি বায়িং হাউজে চাকরি করতেন।
মুরাদের আকস্মিক মৃত্যুকে তার পরিবার পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আগামীকাল রোববার জানাজা শেষে তাকে আজিমপুরে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
