সিলেট প্রতিনিধিঃ- তামাবিল স্থলবন্দরের মত সিলেটের সকল শুল্ক স্টেশনে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব। পণ্য আমদানী না হলে আমদানীর পূর্বে প্রদানকৃত অগ্রিম শুল্ক-করাদি সহজে ও দ্রুত রিফান্ডের দাবী।
অদ্য ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং, রবিবার, দুপুর ১২:৩০ ঘটিকায় চেম্বার কনফারেন্স হলে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে সিলেটের আমদানী-রপ্তানীকারকদের সাথে চেম্বার নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব। সভায় সিলেটের ভোলাগঞ্জ, সুতারকান্দি ও তামাবিল স্থলবন্দরের আমদানী-রপ্তানীকারকগণ তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার কথা চেম্বার নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন। তারা বলেন, সিলেটের প্রায় সবকটি স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতে থেকে কয়লা, পাথর ও চুনাপাথর আমদানী হয়ে থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কেবলমাত্র তামাবিল ব্যতীত অন্য কোন শুল্ক স্টেশনে কাস্টম্স কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ভবন ও গুদাম নেই। আমদানীকারকদের সুযোগ-সুবিধাও অত্যন্ত সীমিত। তারা তামাবিল স্থলবন্দরের মত সিলেটের সকল শুল্ক স্টেশনে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবী জানান। এছাড়াও আমদানীকারকগণ পণ্য আমদানী না হলে আমদানীর পূর্বে প্রদানকৃত অগ্রিম শুল্ক-করাদি সহজে দ্রুত রিফান্ডের ব্যবস্থা করা, করোনা মহামারীর কারণে ট্রেড লাইসেন্স এর সাথে অগ্রিম আয়কর রহিত করা, গাড়ির চাকার সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ওজন নির্ধারণ না করে প্রকৃত ওজন পরিমাপ করে আমদানী শুল্ক আরোপ করা, তামাবিল স্থলবন্দরের ডাম্পিং স্পেসের ভাড়া হ্রাস করা সহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব বলেন, সিলেটের ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ আমদানী-রপ্তানী ব্যবসার সাথে জড়িত। সিলেটের বিভিন্ন শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানী হয়ে সারাদেশে সরবরাহ হয়ে থাকে। তাই সিলেটের আমদানী-রপ্তানীকারকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, আমরা ইতোপূর্বেও আমদানী-রপ্তানীকারকদের বিভিন্ন সমস্যা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছি, তাই এসব সমস্যাও নিশ্চয়ই সুরাহা হবে। তিনি জানান, আগামী কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে। উক্ত সভায় সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে আমদানী-রপ্তানীকারকদের দাবী-দাওয়াগুলো প্রস্তাব আকারে পেশ করা হবে বলে তিনি জানান। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের যেকোন দাবী-দাওয়া আদায়ে সিলেট চেম্বারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বস্থ করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, পরিচালক মোঃ মামুন কিবরিয়া সুমন, পিন্টু চক্রবর্তী, মোঃ আতিক হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক পরিচালক ও ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানীকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মিন্টু, গ্রুপের প্রতিনিধি বশির আহমদ, সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সহ সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্তী, প্রতিনিধি পাপলু দাস, তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন ছেদু, ইলিয়াস উদ্দিন লিপু, মোঃ জালাল উদ্দিন, মোঃ শাহ আলম, মোঃ ফয়জুর রহমান, সুহেল আহমদ, হারুনুর রশীদ, মোঃ জামাল মিয়া, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ মনিরুল হক প্রমুখ।