৮ বাংলাদেশীকে অপহরণ: অপহৃতদের উদ্ধারে পাহাড়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার।। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার পাহাড়ী এলাকা। উচু উচু পাাহাড় আর সবুজ বন এখন সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের নিরাপদ ঢেরা। স্থানীয় লোকজনকে ধরে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা নতুন নয়। গেল কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা দলবদ্ধ ভাবে ডাকাতি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে। অপহৃতরা উদ্ধার হলেও অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতারে বার বার ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা দিনদিন বেপরোয়া বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গত রবিবার স্থানীয় ৮ বাংলাদেশীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দল। অপহরণের ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের উদ্ধার করা যায়নি।
পুলিশ বলছে গত দিনের বিশেষ টিমের সাথে নতুন করে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বাহারছড়া জাহাজপুরা গর্জন বাগান হতে ও হ্নীলা পর্যন্ত এলাকায় উখিয়া- টেকনাফ (সার্কেল) এএসপি শাকিল আহম্মেদ এর নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের পুলিশ সদস্য সিভিল পোশাকে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এতে যুক্ত হয়েছে ২৫০/২৭০ জনের স্থানীয় সাধারণ মানুষ। অপহৃত ৮ জন স্থানীয় নাগরিককে উদ্ধারে জাহাজপুরা পাহাড়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এদিকে, অপহরণের শিকার ভুক্তভোগীদের স্বজনরা দিন পার করছে উদ্বেগ উৎকন্ঠায়। একের পর এক অপহরণের ঘটনায় ভীতিকর অবস্থায় দিন পার করছে স্থানীয়রাও। টেকনাফের বিভিন্ন গহীন অরণ্য যেনো এখন অপহরণকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে । স্থানীয়রা জানান, অপহরণকারীদের ভয়ে নিরাপদে বসবাস করতে পারছেন না ওই এলাকার মানুষ, এমন অভিযোগ স্থানীদের। এর আগেও বেশ কয়েকবার অপহরনকারীরা স্থানীয়দের অপহরন করেছিল, সেসময়ও মুক্তিপণে ছাড়া পায় বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দারদের। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃতরা হলেন, ছৈয়দ আমীরের ছেলে নুরুল মোস্তফা, করিম উল্লাহ, রশিদ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, রুস্তম আলীর ছেলে সেলিম উল্লাহ, নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, রশিদ আহমেদের ছেলে নুরুল আবছার,মমতাজের ছেলে রিদুয়াদ।
অপহৃত করিমের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, পাহাড়ী ছড়া খালে মাছ ধরার সময় হঠাৎ অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে তাদের সবাইকে জিম্মি করে। পরে তাদের অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে গেছে, এখবরটি মুঠোফোনে মোস্তফা জানান বলেন, জানান মো. আলী। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ রয়েছে।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত দিনের বিশেষ টিমের সাথে নতুন করে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।