প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, দেশের মানুষের শত্রু ; প্রধানমন্ত্রী

এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টার।। স্বাধীনতা দিবসে শিশুর বক্তব্য নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খবর প্রকাশ করার অভিযোগ করে দৈনিক প্রথম আলোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নাম তার প্রথম আলো, কিন্তু বাস করে অন্ধকারে।প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, দেশের মানুষের শত্রু। তারা শিশুর হাতে ১০ টাকা তুলে দিয়ে তাকে ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রিপোর্ট করে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।
সোমবার (১০ই এপ্রিল) জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত ৬ এপ্রিল বিশেষ এই অধিবেশন শুরু হয়। গত ২১ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেন। ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে গরিবের টাকায় বড় হওয়া এদের কাছ থেকেও মানবতার কথা শুনতে হয়, গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়। এসব লোক এ দেশের গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি করে। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে অস্ত্র নিয়ে স্কুলের শিশুদের হত্যা করছে। ক্লাবে হত্যা করছে। যারা এই অস্ত্র আইন বন্ধে আইন করতে বললো, তাদের শাস্তি দেওয়া হলো। সাদা চামড়ার একজনকে ছেড়ে দেওয়া হলো। এই হলো তাদের মানবাধিকারের নমুনা। তারা তো খুনি রাশেদ চৌধুরীরও আশ্রয়দাতা।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল তারা দেশকে কিছু দিতে পারেনি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তাদের থেকে আমাদের গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়। টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের মানুষের ভাগ্য ফেরাতে পেরেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটানা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের মানুষের ভাগ্য ফেরাতে পেরেছি।নিম্নআয়ের-মধ্যম আয়ের সকলের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আছে। আজকে গ্রাম এবং শহরের পার্থক্য কমে গেছে। গ্রাম এবং শহরের মাঝে আরেকটি শহর গড়ে উঠছে। সরকার ভাঙার খেলায় বিরোধীরা ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র স্থায়ী বলেই দেশে এতো উন্নয়ন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, প্রত্যেকটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করেছি। আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের ভাগ্য গড়তে।