বরিশালে এস এস সি ২০০২ ব্যাচের ২০ বছর পূর্তি ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রিয়াজ খান অশ্রু।। স্কুল জীবন শেষ হয়েছে ২০বছর হয়ে গেছে, রয়ে গেছে মধুর স্মৃতির রেশ,এখন যে যার জীবনে ব্যস্ত আছে বেশ,কেউ কেউ আজ অনেক সফল, কেউ বা,আবার আছে দারিদ্রতার শৃঙ্খলে, কেউ কেউ আবার হারিয়ে গেছে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রকৃতির চিরন্তনতায়, হাজারো কর্মব্যস্ততা ভুলে স্মৃতি রোমন্থনে পুরো একটি দিন আনন্দের ভেলায় ভাসলেন বরিশাল বিভাগের এসএসসি ২০০২ সালের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
পড়াশোনা শেষ করে যার যার পেশায় চলে গেলেও ফেইসবুক গ্রুপের কল্যানে ঐক্যবব্ধ হন একই ব্যাচের পরিচিত বন্ধুদের সাথে। সবাই সহপাঠীদের সঙ্গে মাতলেন গল্প, আড্ডা আর গানে। প্রাণের বন্ধনে এ কে অন্যের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে প্রত্যেকেই যেন কয়েক মুহূর্তের জন্য ফিরে গিয়েছিলেন সেইসব হারানো দিনে। তাঁরা হাতড়ে ফেরেন ছাত্র জীবনের সেই উচ্ছ্বল, বাধাহীন তারুণ্য এবং যৌবনের ছোটগল্পগুলোকে।
গতকাল ১০ মার্চ শুক্রবার বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা ইউনিয়নে অবস্থিত দৃষ্টি নন্দন পার্ক নিসর্গ তে সারাটা দিনই এক মহামিলন মেলায় পরিণত হয় এস এস সি ২০০২ ব্যাচ বরিশাল বিভাগীয় অনুষ্ঠান।০২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।মিলন মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহ, মেয়র বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, এ মিলন মেলায় বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ছয় শতাধিক বন্ধু অংশ গ্রহন করে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। পুরো আয়োজন স্থল গেট করে সাজানো হয় ফুলে ফুলে। পুণর্মিলনীতে আসা বন্ধুদের নাম রেজিস্টেশন পরিচয় পর্ব এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ২০০২ ব্যাচের সকল বন্ধুরা এরপর কেক কেটে পরে অভিনয়,গান,কবিতা,ছড়া,কৌতুক, স্মৃতিচারণ, বক্তিতৃতা, ও পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।বন্ধু নিয়াজ মোর্শেদ বিপ্লবের দিক নির্দেশনায় এস এস সি ২০০২ ব্যাচ বরিশাল বিভাগীয় পুণর্মিলনী অনুষ্ঠান সফল করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন যারা তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, প্রিন্স হাওলাদার আতাউর রহমান বুলেট, মোর্শেদ তালুকদার,মাহামুদা জোনাকি, নাজমুল হুদা,রিয়াজ খান অশ্রু, সৈয়দ সরোয়ার,মাহমুদুল হাসান,মারুফ,রিয়াল,বৈশাখী ,নিলয়, রাহাত,শাহদাত,নোমান,সাইফুল,ডাক্তার হাবিবুর রহমান, মোবাস্বের, নিক্সন মোল্লা, প্রিন্স, সুমন সহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ করেন তারা।কেউ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ,সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত বন্ধুরা শত ব্যাস্ততার মাঝেও উপস্থিত ছিলেন। সবাই হাসি-গান-আড্ডায় মেতে উঠেন,হারিয়ে যান শৈশবে।উপস্থিত বন্ধুরা বলেন ‘ স্মৃতি সবসময় আমাদের নাড়া দেয়।এটাই আমাদের মনের কথা। আমরা সামনের দিন গুলোতে এসএসসি ০২ ব্যাচ শিক্ষার্থীদের আয়োজন দেখতে চাই,এবং বন্ধন বাড়াতে চাই। সুন্দর এই আয়োজনের প্রশংসা করেছে বিভাগের ৬টি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বন্ধুরা,একটি জমকালো আয়োজনের সাক্ষি হতে পেরে তার অত্যান্ত আনন্দিত।