সৈয়দপুরে রিক্সা ও অটোরিক্সা যাত্রীর ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না পৌর বিধি !

জাহিদুল হাসান জাহিদ।স্টাফ রিপোর্টার।১৫ জুন-২০২১।। নীলফামারীর সৈয়দপুর শহর এক সময় সিটি শহর নামে পরিচিত ছিল। কালের বিবর্তনে সেই সিটি নামটি বিলুপ্ত হয়েছে।সিটি শহর নাম বিলুপ্ত হলেও এই শহর শিল্প নগরী ও রেলওয়ে শহর নামে এখনও পরিচিতি বহন করছে। তবে শিল্প নগরী হওয়ায় যেমন বেড়েছে মানুষের সংখ্যা সেই সাথে বেড়েছে ঘন বসতি।আবার মানুষের জীবন জীবিকার প্রয়োজনে বেড়েছে রিক্সা অটোরিক্সা অন্যান্য যান-বাহনেরও সংখ্যা।তবে এখানে বেশির ভাগ মানুষের পেশা শ্রমিক।এই শ্রমজীবি মানুষের বড় একটি অংশের প্রধান আয়ের উৎস রিক্সা, ভ্যান ও অটেরিক্সা। সেই বৃটিশ থেকে এই শহরের মানুষের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার প্রধান বাহন ছিল রিক্সা।সেই সময় দুইজন যাত্রী রিক্সার ভাড়া দিতেন ৩-৫ টাকা। তখন রিক্সা চালকরা পৌরসভার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ি যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করতো।বর্তমানে পৌরসভার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকাকে তোয়াক্কা না করে রিক্সা চালকরা জনপ্রতি ২০-৫০ টাকা রিক্সা ভাড়া আদায় করছে।আবার আধুনিক সময়ে সব মানুষের যাতায়াতে যোগ হয়েছে অটোরিক্সা। এই অটোরিক্সা যাত্রী ভাড়া নির্ধারণ না থাকায় যাত্রী সাধারনের কাছ থেকে ইচ্ছা মাফিক ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে রিক্সা চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগটা বেশি। রিক্সাওলার সঙ্গে ভাড়া দামা দামি না করে উঠলে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের মহা বিপদে। ভদ্র যাত্রীরা নিজের মান সম্মানের দিকে তাকিয়ে মুখ বন্ধ করে বেশি ভাড়া দিয়ে চলে যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ বেশি ভাড়া না দিতে চাইলে রিক্সা চালকদের কাছে দারুণ অপমান অপদস্তের শিকার হতে হয়।
এসব অপমান অপদস্ত থেকে রক্ষা পেতে রিক্সা ও অটোরিক্সার যাত্রীর নির্দিষ্ট ভাড়া উল্লেখ করে শহরের প্রতিটি সড়কেরর মোড়ে পৌরসভা কর্তৃক তালিকা ব্যানার বা সাইন বোর্ড ঝুলানোর দাবি করেন সচেতন শহরবাসী।
এই ব্যাপারে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী মুঠো ফোনে জানান,সে সৈয়দপুর উন্নয়নের বরাদ্দর ব্যাপারে বিভিন্ন মনন্ত্রালয়ে যোগাযোগের কারণে ঢাকায় অবস্থান করছেন।তার ব্যক্তিগত সেক্রেটারী মুঠো ফোনে মেয়রের পক্ষ থেকে বলেন, মেয়র মহোদয় সৈয়দপুর বাসীর কল্যাণ হয় এই ধরনের সব পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।